দেশপ্রেমিক প্রধানমন্ত্রী ও ‘প্রাণভোমরা’ আইজিপি!

প্রকাশিতঃ 3:21 pm | January 27, 2018

অ্যাক্টিং এডিটর, কালের আলো:

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীকে আইজিপি হিসেবে বেছে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারো দেশপ্রেম ও মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন। পুলিশ প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদে তাঁকে নিয়োগ দেয়ার মধ্যে দিয়ে পদক্রমের জ্যেষ্ঠতার ধারাবাহিকতা রক্ষার পাশাপাশি গোটা বাহিনীর চেইন অব কমান্ডও ধরে রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঠিক ও যুগান্তকারী এ সিদ্ধান্তে খুশি দেশের আপামর জনসাধারণ।

আর এর প্রমাণও মিলছে হাতেনাতে। আইজিপি পদে নিয়োগ পেয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ফুলেল ভালবাসায় সিক্ত হচ্ছেন মেধাবী ও পেশাদার পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

পুলিশ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক নেতা সবাই ফুলহাতে ছুটছেন নতুন আইজিপি’র বর্তমান আবাসস্থল উত্তরার অফিসার্স কোয়াটার্সের এপিবিএন কমপ্লেক্সের বাসায়। মিষ্টি হাতেও আসছেন অনেকেই। যেন সবার ‘প্রাণভোমরা’ হয়ে উঠেছেন নতুন এ পুলিশ প্রধান।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর থেকে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দিন-রাত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বত:স্ফূর্ত অভিনন্দন গ্রহণ করেন দেশের পুলিশের নাম্বার ওয়ান এ কর্মকর্তা।

জানা যায়, অতীতে পুলিশের সর্বোচ্চ পদ আইজিপিতে নিয়োগ জ্যেষ্ঠতার ক্রম অনুযায়ী খুব কমই হয়েছে। বিএনপি আমলে ১২ জনকে ডিঙ্গিয়ে আইজিপি করারও রেকর্ড আছে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী যখন জাবেদ পাটোয়ারীকে আইজিপি করার বিষয়ে মনোভাব পোষণ করেন তখন পুলিশের গুটিকয়েক কর্মকর্তা নানাভাবে প্রধানমন্ত্রীকে বুঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু জাবেদ পাটোয়ারীর সততা ও দক্ষতায় মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রী নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।

বিশ্লেষকদের ভাষ্যে, জাবেদ পাটেয়ারীকে আইজিপি করার ক্ষেত্রে দেশের স্বার্থকেই প্রাধান্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের পুলিশকে চৌকষ ও যোগ্য নেতৃত্ব দিতে জাবেদ পাটোয়ারীকেই উপযুক্ত মনে করেছেন তিনি। কারণ, জাবেদ পাটোয়ারী সৎ, মেধাবী হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে সুপরিচিত।

যে কারণে দুর্নীতি অনিয়ম ও বিভিন্ন ঘটনায় এ বাহিনীকে বিতর্কিত হবার হাত থেকে রক্ষা করে সুনামে ফিরিয়ে আনতে ঝানু এ পুলিশ কর্মকর্তার ওপরই আস্থা রাখেন প্রধানমন্ত্রী। চাকরি জীবনে সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ জাবেদ পাটোয়ারী কারো অন্যায় আবদার না মেনে নিরপেক্ষভাবে সামনের দিনগুলোতে জনগণের সেবায় পুলিশকে চালিত করতে পারবেন আশা করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

অনেকের মতে, আইজিপি হিসেবে ড.জাবেদ পাটোয়ারীকে বেছে নেয়ার মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জ্যেষ্ঠতার ক্রম মানার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। অতীতেও বিভিন্ন নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় শীর্ষ পদগুলোতে যোগ্যতা ও দেশের স্বার্থকেই বড় করে দেখার নজির সৃষ্টি করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী দেশ ও জনগণের জন্য কোনটি ভালো সেটি যেমন চিন্তা করেন, তেমনি যোগ্যতা ও মেধাকেও গুরুত্ব দিয়েছেন। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ নিয়োগের মধ্যে দিয়ে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন বঙ্গকন্যা ও সফল রাষ্ট্রনায়ক।

পুলিশের বিদায়ী আইজিপি এ.কে.এম.শহীদুল হক শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে নতুন আইজিপি’র জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।’ তবে অতীতের ধারাবাহিকতায় এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অবশ্যই উত্তীর্ণ হবেন নিরেট ভদ্র ও মেধাবী নতুন পুলিশ প্রধান ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। আগামী ৩১ জানুয়ারির আগে আইজিপি’র চেয়ারে না বসলেও ইতোমধ্যেই তাঁর ব্যস্ততা বেড়েছে বহুগুণে। আর এ ব্যস্ততার মূলে রয়েছেন পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে নানা শ্রেণি পেশার মানুষের তাঁর প্রতি হৃদয়গ্রোথিত আবেগ আর ভালবাসা।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর উত্তরার অফিসার্স কোয়াটার্সের বাসায় গিয়ে দেখা গেলো, নতুন আইজিপি’র দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা কেক আর মিষ্টি মুখ করছেন। এখানেই আলাপ হলো উত্তরা পূর্ব জোন টিম টু’র ইন্সপেক্টর ফারুকুল ইসলাম ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেনের সঙ্গে। হাসিমুখে তাঁরা বলেন, ‘স্যারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে আসছেন সবাই। সবাই স্যারের এ বিশাল অর্জনে অনেক খুশি।’

দেশপ্রেমিক পুলিশ বাহিনীতে সততার একটি জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত নতুন আইজিপি ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এমন কথাও উচ্চারিত হলো এ দু’পুলিশ সদস্যের মুখে। অভিন্ন কন্ঠে তাঁরা বললেন, ‘স্যারের কাছ থেকে আদর্শ, ন্যায়-নীতি এবং সৎ থেকে নির্লোভ জীবন যাপন করতে হয় সেটি শিখেছি।

তাঁর দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে জনমনে পুলিশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হবে। ইতিবাচক কাজের মধ্যে দিয়ে দেশপ্রেমিক পুলিশ বাহিনীকে তিনি অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।’

 

কালের আলো/এমকে

Print Friendly, PDF & Email