নির্বাচনে সব অস্ত্র নিয়ে নামতে হবে: ফখরুল

প্রকাশিতঃ 8:48 pm | November 20, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব ‘অস্ত্র’ নিয়ে নামতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর সুপ্রিমকোর্ট মিলনায়তনে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচনের দিন শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করব। বুকে বুক বেঁধে লড়াই করব। সুযোগ একটা এসেছে। হাত-পা বেঁধে রাখার মধ্যেও আমাদের এগুতে হবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, তফসিল ঘোষণার পরও চারদিকে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এ থেকে মুক্তি চাইলে, নির্বাচনে সব অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে। আর সে অস্ত্র হলো ভোটের অস্ত্র। সবাই মিলে ভোট দিয়ে এই দানব সরকারকে হঠাতে হবে।

নির্বাচনকে বিএনপির অস্তিত্বের লড়াই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণকে শক্তি হিসেবে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে, এর বিকল্প নেই। মামলার ভয়ে পালিয়ে না বেড়িয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, সরকার প্রচণ্ড ভয় পেয়েছে। ইন্টারনেট, স্কাইপ বন্ধ করেছে। কতটুকু দেউলিয়া হলে তারা আমাদের প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে রিট করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, এই নির্বাচনকে আন্দোলন হিসেবে নিয়েছি। তারেক রহমান আজ দেশের বাইরে। খালেদা জিয়া কারাগারে। এই অমানবিক অবস্থায় আর থাকতে হবে না। সবাই মিলে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বর্তমান সরকারের দুঃশাসনে ভেতরে ভেতের সাগরের মতো ফুঁসছে সারা দেশের মানুষ। পরিবর্তনের জন্য তারা কেবল একটি সুযোগের অপেক্ষায়। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে সেই পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে। যেহেতু নির্বাচনের হুঁইসেল (তফসিল) বেজেছে, তাই আগামী ৩০ ডিসেম্বর আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনের রায় ঘোষণা করবো। এই নির্বাচনে এই জালিম সরকারের পতন ঘটানো হবে। নির্বাচনের আগে ২১দিন প্রচারণার সুযোগ পাবো, তখন সারাদেশ চষে বেড়াবো।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সরকারের কাছে সবচেয়ে আতঙ্কিত যে ব্যক্তি, তিনি হলেন তারেক রহমান। সেই কারণেই তারা আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে নিয়ন্ত্রিত বিচার ব্যবস্থা দিয়ে একের পর এক তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। আমাদের দুঃখ হয়, বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হতো না আর খালেদা জিয়াকেও কারাগারে থাকতে হতো না। তাই আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনকে একটি আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়ে এই দানব সরকারের হাত থেকে মুক্তি পেতে হবে।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ শহিদুদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ডেমোক্রেটিক লীগের মহাসচিব সাইফুদ্দিন মনি প্রমুখ।

কালের আলো/এনএম

Print Friendly, PDF & Email