যাকে ডাবল সেঞ্চুরি উৎসর্গ করলেন মুশফিক…

প্রকাশিতঃ 7:26 pm | November 12, 2018

কালের আলো স্পোর্টস:

নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি সহধর্মিনী জান্নাতুল কিফায়াত মন্ডিকে উৎসর্গ করেছেন মুশফিকুর রহিম।

২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার গল মাঠে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। পাঁচ বছর পর তার ব্যাট থেকে এলো দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। যা বাংলাদেশের চতুর্থ ডাবল। শুধু ডাবল সেঞ্চুরিই করেননি মুশফিক। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের মালিক এখন মুশফিক। ২১৯ রান করে ছাড়িয়ে গেছেন সাকিবের ২১৭ রান।

পাশাপাশি আরেকটি বিশ্বরেকর্ডও গড়েছেন। বিশ্বের একমাত্র উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি এখন মুশফিকুর রহিমের নামের পাশে। তাইতো আজকের ডাবল সেঞ্চুরি তার কাছে বেশ স্পেশাল। তাইতো ডাবল সেঞ্চুরি উৎসর্গ করেছেন সহধর্মিনীকে। মাঠেই তা বোঝা যাচ্ছিল গাঢ়ভাবে। ডাবল সেঞ্চুরির পর উদযাপনের এক পর্যায়ে গ্লাভস খুলে দুই হাতের আঙুল দিয়ে আঁকেন ভালোবাসার চিহ্ন।

দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে সে কথাই বললেন মুশফিক,‘এই ইনিংসটি আমি আমার স্ত্রীকে উৎসর্গ করেছি। ইনিংসটা অনেক স্পেশাল ছিল এবং ও আমাকে অনেক অনেক অনুপ্রাণিত করেছে। কালকেও আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছে। ২০১০ সালে আমার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি, বিশেষ করে এই মাঠে আমার প্রথম সেঞ্চুরি। এটা আমার ক্ষেত্রে মাইলফলক ছিল। চেষ্টা থাকবে এটার ধারবাহিকতা ধরে রাখার। আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল যদি ওই জায়গায় যেতে পারি তাহলে আমার সহধর্মিনীকে উৎসর্গ করব। এটা আসলেই স্পেশাল। ওর অবদান অনেক বড়।’

নিজেকে আড়ালে রাখতে সব সময়ই পছন্দ করেন মুশফিক। কম কথা বলেন। নিজেকে গুটিয়ে রাখেন। নিজের অর্জনের থেকে দলের অর্জনে বেশি মনোযোগ তার। অনুশীলনে কোনো সময়ই গাফিলতি করেন না। সতীর্থদের কাছে তিনি এক অনুপ্রেরণার নাম। তবে দিনকে দিনে খোলস থেকেবেরিয়ে আসছেন। ফিরিয়ে নিয়ে আসছেন প্রাণচঞ্চলতা। নিজের এমন পরিবর্তনের কৃতিত্বও দিলেন সহধর্মিনীকে।

‘আপনারা জানেন, আমি মন খারাপ করে থাকি বা এটা করে থাকি। কিন্তু বিয়ের পর এটা আমার অনেক বেশি উন্নতি হয়েছে। বাচ্চা (মোহাম্মদ শাহরোজ রহিম মায়ান) হওয়ার পর তো আরও বেশি। আমার ফোনের ওয়ালপেপারে ওর ছবি থাকে। একটু হাসি দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। সবকিছু মিলে আলহামদুলিল্লাহ।’

কালের আলো/পিএম

Print Friendly, PDF & Email