মুক্তিযোদ্ধার সাথে আবাহনীর জয়

প্রকাশিতঃ 9:38 pm | October 28, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

২০০৮ সালে মামুনুল ইসলাম যখন আবাহনীতে, তখন তার ক্যারিয়ারের সেরা সময়। ১০ বছর পর সেই আবাহনীতে ফিরে মামুনুল দেখালেন, তিনি এখনো ফুরিয়ে যাননি। চট্টগ্রাম আবাহনী ছেড়ে পুরোনো ক্লাবে ফিরেই জেতালেন দলকে। রবিবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এ মিডফিল্ডারের একমাত্র গোলেই মুক্তিযোদ্ধাকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে ফেডারেশন কাপে শুভ সূচনা করেছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।

গোল করে আবাহনীকে শুধু জেতাননি মামুনুল, ছিলেন ম্যাচের সেরা পারফরমারও। ম্যাচসেরা হিসেবে পাওয়া পুরস্কার হাতে নিয়ে ঢুকলেন সংবাদ সম্মেলন কক্ষে। বললেন, ‘মাঠে যখনই নামি, তখনই নিজেকে প্রমাণের চেষ্টা করি, দলকে জেতানোয় ভূমিকা রাখার চেষ্টা করি।’

মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে আবাহনী পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে ফিরলেও চ্যাম্পিয়নদের খেলা সেভাবে তুষ্ট করতে পারেনি সমর্থকদের। অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী মুক্তিযোদ্ধা প্রায় সমানতালেই খেলে গেছে। এমন কি বেশ কয়টি সহজ সুযোগও এসেছিল অলরেডদের সামনে। কিন্তু তারা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। সুযোগ কাজে লাগিয়ে আবাহনী করে ফেডারেশন কাপে শুভ সূচনা।

ম্যাচের পর আবাহনীর কোচ জাকারিয়া বাবু বলেন, ‘তিন পয়েন্ট প্রয়োজন ছিল, পেয়েছি। তবে আবাহনীর চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে যেমন পারফরম্যান্স করা উচিত ছিল, তা হয়নি। আসলে প্রথম ম্যাচ বলেই এমন হয়েছে। খেলোয়াড়রা একটু বেশি চাপও নিয়ে ফেলেছিল।’

আবাহনীর গত দুই বছর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম নায়ক নাইজেরিয়ান সানডের সঙ্গে এবার আক্রমণে জুটি হাইতির বেলফোর্ট। বোঝাপড়া ভালোই ছিল তাদের প্রথম ম্যাচে। এই দুই বিদেশির কম্বিনেশনের ফলই ৬৫ মিনিটে মামুনুলের গোল। বেলফোর্টের তুলে দেয়া বল মাথায় থামিয়ে মামুনুলের সামনে ফেলেন সানডে। অরক্ষিত মামুনুল বাঁ পায়ে বল জালে পাঠিয়ে এগিয়ে দেন দলকে।

গোলদাতা মামুনুল গোলটির জন্য সানডের অবদানের কথা বললেন, ‘সানডেই দারুণভাবে আমাকে স্পেস বের করে দিয়েছে। আমি সুযোগটি কাজে লাগিয়েছি মাত্র।’

আবদুল কাইয়ুম সেন্টুর মুক্তিযোদ্ধার কৌশল ছিল প্রতি আক্রমণ। তাতে সুযোগ এসছিল। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। মোহাম্মদ সোহেলের শট ক্রসবারে না ফিরলে কিংবা সুজন বিশ্বাস ফাঁকাপোস্টে বল বাইরে না পাঠালে মুক্তিযোদ্ধা হয়তো পয়েন্ট নিয়েও ফিরতে পারতো।

তারপরও চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট মুক্তিযোদ্ধার কোচ আবদুল কাইয়ুম সেন্টু। তিনি বলেন, ‘যেভাবে অনুশীলন করিয়েছি, সেভাবে মাঠে খেলেছে। আমি খুশি।’

কালের আলো/পিএম

Print Friendly, PDF & Email