‘সন্তানদের বলেছি, শিক্ষাই তোমাদের সম্পদ’

প্রকাশিতঃ 8:48 pm | October 26, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘১০ বছর পরিশ্রম করছি। এ পরিশ্রম আমি আমার নিজের ভাগ্য গড়ার জন্য করিনি। সন্তানদের বলেছি, শিক্ষাটাই তোমাদের বড় সম্পদ। কোনো সম্পদ আমি তোমাদের জন্য রেখে যেতে পারব না। বিদ্যা শিক্ষা দিয়েছি নিজেদের ভাগ্য গড়বে। আমি দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে কাজ করব। দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছি।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬ ও ৯৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের জন্য আয়োজিত ছবি আঁকা ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আজকের শিশুরাই আগামী দিনে দেশ চালাবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই দেশ এগিয়ে যাক। এ শিশুদের মধ্যে থেকেই কেউ না কেউ আমার মতো প্রধানমন্ত্রী হবে, মন্ত্রী হবে, বড় ব্যবসায়ী হবে, বড় বড় চাকরি করবে, দেশ চালাবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই শিশু-কিশোরদের উৎসাহিত করতে। আমি মনে করি, খেলাধুলা, চিত্রাঙ্কন, সাংস্কৃতিক চর্চা; এগুলো আমাদের ছেলেমেয়েদের সুন্দর জীবন গড়ার সুযোগ করে দেবে। জীবনকে সুন্দরভাবে দেখার সুযোগ করে দেবে।

শিক্ষা ক্ষেত্রকে সুবিস্তৃত করতে সমগ্র বাংলাদেশে যেখানে স্কুল নাই সেখানে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে সরকারি কলেজ ও স্কুল নাই সেখানে সরকারি কলেজ ও স্কুল করে দিচ্ছি। তিনশ’র কাছাকাছি কলেজ ও ২৬ হাজার প্রাইমারি স্কুল আমরা সরকারিকরণ করেছি। নতুন প্রজন্মকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করাই সরকারের মূল লক্ষ্য। আজকের শিশুরা ভবিষ্যতে যাতে সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে পারে এবং বাংলাদেশের পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে সে জন্যই আমরা ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ গ্রহণ করেছি। আজকের শিশুরাই পাবে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।’

তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবন সুন্দর ও সমৃদ্ধ করতে সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশ গড়ার কাজ করে যাচ্ছে। আমরা যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি তাতে আজকের শিশুরা বড় হয়ে এ দেশের জন্য গর্ববোধ করবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনো পরিবারের শিশুরা যেন লেখাপড়া করতে পারে সে জন্য সরকার সব প্রকার সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। বিমামূল্যে বই। গরিব ও মেধাবীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা । শিক্ষার্থীদের মায়ের নামে অ্যাকাউন্ট করে তাদের বৃত্তির টাকা প্রেরণ। দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ানো। শিক্ষা ক্ষেত্রে বেশি বরাদ্দ রাখা সবই করছে আমাদের সরকার।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যাপক উন্নয়নের কাজে হাত দিয়েছি। দেশের উন্নয়ন যখন হবে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়তে পারব। জাতির পিতা যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন সেই স্বপ্ন আমরা পূরণ করতে পারব।’

চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সভাপতি শিল্পী হাশেম খান। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন-বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান, ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাশুরা হোসেন প্রমুখ।

কালের আলো/এমএইচ

Print Friendly, PDF & Email