প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলন শুরু

প্রকাশিতঃ 4:31 pm | October 03, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আজ বিকেল ৪টায় শুরু হয়। বিটিভিসহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করছে।

শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগদানের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সপ্তাহব্যাপী সরকারি সফর করেছেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রাপ্তি, মহাসচিবসহ কয়েকটি রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক ও তার ফলাফল বিস্তারিত তুলে ধরছেন।

শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগদানের লক্ষ্যে গত ২১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে যান। ১ অক্টোবর সকালে শেখ হাসিনা দেশে ফেরেন। এর আগে তিনি লন্ডনে যাত্রা বিরতি করেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদফতরে অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন।

প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি নেদারল্যান্ডের রানী ম্যাক্সিমা, এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্রেস্টি কালজুলেইদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেইও-এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া সংবর্ধনা সভায়ও যোগ দেন।

শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট, সাইবার নিরাপত্তা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষা এবং বৈশ্বিক মাদকদ্রব্য সমস্যা নিয়ে কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এছাড়া ইউএস চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ ও গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা ইন্টার প্রেস সার্ভিস (আইপিএস) প্রদত্ত সম্মানজনক ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেন। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নাগরিককে আশ্রয়দানের মাধ্যমে মানবিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করায় তাকে এই পদকে ভূষিত করা হয়।

পাশাপাশি, দূরদৃষ্টির মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলার জন্য গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশনের পরিচালনা পর্ষদ তাকে ‘২০১৮ স্পেশাল রিকগনাইজেশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত করে। এছাড়া শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত সংবর্ধনায় অংশগ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা জাতিসংঘে যে ভাষণ দিয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি সন্ত্রাসবাদসহ সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে তার ও বাংলাদেশের অবস্থান নিশ্চিত করেছেন। ফিলিস্তিনি জনগণের বিপক্ষে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অব্যাহত ধারাটির সমালোচনা করে তিনি তার মর্মাহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতাদের।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে ভাষণে। বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ দশটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশও অন্তর্ভুক্ত। তিনি প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে তার অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়নের সূচকগুলো তুলে ধরেছেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনেতার ভাবমূর্তিতে সমাবেশটি আলোকিত করেছেন।

কালের আলো/ওএইচ

Print Friendly, PDF & Email